আগরতলা ৩রা জুন (এ.এন.ই ): ত্রিপুরার ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে আচমকা নাইজেরিয়ান নাগরিকদের অনুপ্রবেশ লক্ষ্যনীয় ভাবে বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশী এই ধরনের প্রবণতা দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে হচ্ছে বলে সুরক্ষা বাহিনীর আধিকারিদের অভিমত। দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়ার শহর এবং এই মহকুমায় অন্যান্য সীমান্ত এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় গত ১১ মাসে ১৩ জন নাইজেরিয়ান যুবককে আটক করেছে সুরক্ষা বাহিনী। সম্প্রতি এক নাইজেরিয়ান যুবককে জিজ্ঞেসাবাদ করতে তেলেঙ্গানার দুই পুলিশ আধিকারিক রাজ্যে আসেন। অভিযোগ ঐ নাইজেরিয়ান যুবক সেই রাজ্যে একটি জুয়েলারী দোকান থেকে সারে তিন কোটি টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরির সঙ্গে যুক্ত। তবে সে বাংলাদেশ কোন পথে গেল আর আবার রাজ্যে কেন ঢুকলো এই নিয়ে সংশয় রয়েছে। এদিকে নাওচিনামোরে একেনে নাইজেরিয়ান যুবক মামলার বিলোনীয়া থানার পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে নাইজেরিয়ান কিছু কিছু যুবক ভারতে এসে তারা কাপড় এবং চুল ও ড্রাগ ব্যবসার সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে। চুল ব্যবসা এখানে স্বর্ণালঙ্কারের চাইতে দামি ব্যবসা। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝরেপড়া চুল বিশেষ করে মহিলাদের মাথার চুল অনেক ছেলেমেয়ে স্টিলের বাটি বা সামান্য কিছু দিয়ে সংগ্রহ করে। মহিলারাও মাথা থেকে চিরুনির সাথে ঝরেপড়া চুল জমিয়ে রেখে পরে দিয়ে দিচ্ছে যারা সংগ্রহ করতে আসে তাঁদের কাছে। ফেলে দেওয়ার চাইতে স্টিলের থালা-বাটি যাই পাওয়া যায় মন্দ নয়। এই চুল নাইজেরিয়ানদের কাছে অনেক দামি। তাঁদের চুল কোঁকড়ানো। ভারতের মহিলাদের চুল দেখতে সুন্দর, মসৃণ, লম্বা ইত্যাদি। এদিকে নাইজেরিয়ানরা ভারতে আসার পর অনেককে সময়মতো ফিরে যেতে না পারলে ভিসা সংগ্রহ করতে হয়। ভারত থেকে এই ভিসা সংগ্রহ করতে অন্তত দুই-তিন মাস লেগে যায়। ধরা পড়লে জেলতো রয়েছেই। পুলিশ জানতে পেরেছে বাংলাদেশ থেকে যে কোনও উপায়ে একদিনের মধ্যে নাকি ভিসা সংগ্রহ করা যায়। রাই সংশ্লিষ্ট নাইজেরিয়ানরা চোরাপথে বাংলাদেশে যেতে আগ্রহী হয়। বিলোনীয়া মহকুমার সীমান্তে এ পর্যন্ত ধৃত বেশিরভাগ নাইজেরিয়ানের ভিসা জাল ধরা পড়েছে। আরও ঘটনা হচ্ছে যে যার মাধ্যমে এসব নাইজেরিয়ানরা কলকাতা, আগরতলা হয়ে বিলোনীয়ায় আসছে তারা ঐ দুষ্টচক্রের কাছে সর্বস্ব হারাচ্ছে। পুলিশ তদন্ত চালিয়েছে কারা নাইজেরিয়ানদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দিচ্ছে। সব মিলিয়ে পুলিশ তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। এদিকে নাইজেরিয়ানদের আনাগোনার দঃ জেলা জেলাসদর সহ মহকুমার সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তার প্রশ্নে আরও নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট মহলের অভিমত। কারন বেআইনিভাবে বাংলাদেশে যাবার জন্য মহকুমা সীমান্তকে বেছে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট স্বার্থান্বেষী মহল। এ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
No comments:
Post a Comment