ইমোর মাধ্যমে অতি অল্প খরচে দেশে পরিবার, পরিজনদের সাথে অডিও ভিডিও কলে কথা বলা যায় সহজে। প্রিয়জন বাবা-মা,ভাই,বোন অথবা আদরের সন্তানের মুখ দেখতে কার না ভালো লাগে! ইমো তাই সব প্রবাসীর কাছেই অতি প্রিয়।
কিন্তু ইমো অনেক ভয়ংকর ক্ষতিকর দিকও ইদানীং প্রকাশ পাচ্ছে। ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে হোক ইমোর মমাধ্যমে আমরা নিজরা নিজেদের অনেক সর্বনাশ ডেকে আনছি।
যেমন নতুন,পুরাতন প্রবাসী অনেকেই নানারকম অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায় ইমোর মাধ্যমে। অনেক বিবাহিত কুলাঙ্গারও পরকিয়াতে মজে যায় ইমোতে!
ইমোতে পরিচিত হওয়া কারো জন্য টাকা পাঠায় প্রবাসীরা। ইমোতে অবৈধ কার্যকলাপেরর লোভে, অনেকে মেয়েদের ফাঁদে পা দেয়।
আমরা কি জানি এই টাকা আমাদের কোন কাজে আসছে কিনা? এখন আমরা সবাই হয়তো একটা জিনিস জানি যে, এখন ফেসবুকে বা ইমোতে অনেক ভুয়া নাম ব্যবহার করে আমাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
আবার এসব প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অনেক প্রতারক ইমো হ্যাক করে। ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করে ব্ল্যাকমেইল করে। নানাভাবে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়।
বিভিন্ন পেইজের পোষ্ট এর কমেন্টবক্সে, অনলাইনে বিভিন্ন পেইজ বা পোষ্টে দেখা যায় অনেক বাজে মেয়ে প্রবাসীদের কে টার্গেট করে তাদের দেহের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। জিভে পানি নিয়ে সেই বিজ্ঞাপনগুলোর পেছনে ছোটে নারীলোভিরা! তারা নানাভাবে অর্থ ব্যয় করে। প্রকৃতপক্ষে, তারা যে প্রতারণার ফাঁদে পা দিল, লোভের কারণে এটা বুঝেও বিঝতে চায় না।
আপনি কি নিশ্চিৎভাবে বলতে পারবেন, আপনি যার পেছছনে অর্থ এবং নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করছেন, সে তাদের একজন কিনা?
সে তাদের একজন হোক বা না হোক মাথায় রাখবেন যে মেয়ে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে টাকা নিতে পারে, সে কোন ভালো মেয়ে হতে পারে না।
আপনার একটুও কি লজ্জা লাগেনা, মা-বাবা আপনাকে এত কষ্ট করে ধারদেনা ঋণের বোঝা নিয়ে বিদেশ পাঠিয়েছে, আর আপনি এখন একটা মেয়ে বা অন্য বাজে কাজে টাকা নষ্ট করছেন। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন, কি করছেন আপনি!
আল্লাহ আমাদের মন পরিস্কার রেখে সৎভাবে জীবন যাপন করার তৌফিক দিন। আমিন।
No comments:
Post a Comment