Saturday, December 10, 2016

১২ রবিউল আউওয়াল কি করবেন ?

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ

আপনি রোজা ও কোরবানীর ঈদে নতুন কাপড় পরেন,
ঘরে আলাদা করে মেহমানদারীর ব্যবস্থা করেন,
ঘরবাড়ি সাজান, মানুষকে দাওয়াত দেন।

তাহলে---

-যে দিন আমাদের প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পৃথিবীতে আগমণ করেন,
-যেই দিন আমরা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আমাদের মধ্যে পাই,
সেই দিন তো আমাদের জন্য সবচেয়ে খুশির দিন। ঐদিনটিকে তো আমাদের আরো সুন্দর করে, জাকজমক করে উদযাপন করা উচিত।
আপনারা প্রত্যেকে চেষ্টা করবেন- ঐদিন নতুন কাপড় পরার জন্য,
আপনারা চেষ্টা করবেন ঐদিন বাসায় মেহমানদারির ব্যবস্থা রাখার জন্য
আপনারা প্রত্যেকে ঐদিন বাসাবাড়ি সাজাবেন, মানুষকে দাওয়াত দিবেন।
এখন বলুন তো-
এই কাজগুলো করলে আপনি ফজিলত পাবেন ?
উত্তর- সূরা ইউনুস খুলে দেখুন। সেখানে কি বলা আছে-
“ হে আমার হাবীব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি সবাইকে জানিয়ে দিন, তারা যে ফজল ও রহমত (অর্থাৎ নবীজিকে) পেয়েছে, সে উপলক্ষে তারা যেন ঈদ পালন বা খুশি প্রকাশ করে। নিশ্চয়ই এ খুশি করাটা তাদের সঞ্চিত সমস্ত নেক আমল হতে উত্তম।” (সূরা ইউনুস: ৫৮) সুবহানাল্লাহ।
অর্থাৎ এ দিনটিতে প্রিয় হাবীব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পাওয়া উপলক্ষে খুুশি করার ফজিলত হচ্ছে দুনিয়া ও আখিরাতের সঞ্চিত সকল কিছু থেকেই উত্তম। সুবহানাল্লাহ। তাই আপনি ঐদিন উপলক্ষে খূশি করলে, নতুন জামা-কাপড় পড়লে, মেহমানদারি করলে, ঘরবাড়ি সাজালে এর ফাজিলতও হবে সকল কিছুর থেকেই উত্তম। সুবহানাল্লাহ।