সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যের বৃহত্তম রাষ্ট্র। এর রাজধানীর নাম রিয়াদ। আয়তন : ২২,৫০,০০০ বর্গ কিলোমিটার। রাজনীতিক দল গঠন করা যায় না। এটি একটি ধর্মভিত্তিক শাসনব্যাবস্থা, যা বলা হয় তা ধর্ম আদলে হলেও রাজার কথাই শেষ কথা। রাজার কথাই শেষ কথা বলে জনগনের মতামতের কোন মুল্য নেই তাই কোন রাজনীতিক দল ও নেই। দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলই মরুভূমি। দেশের সবচেয়ে বড় মরুভুমির নাম রাব-আল-খালি। আড়াআড়ি দু'টি তরবারীর ওপর একটি খেজুর গাছ হলো সউদী আরবের জাতীয় প্রতীক, খেজুর গাছ দ্বারা বুঝানো হয়েছে সমৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি, আর তরবারী দ্বারা ন্যায় বিচার, শক্তি ও নিরাপত্তা বুঝানো হয়েছে। কট্টরপন্থি মুসলিম দেশ হিসেবেই সৌদি আরবকে চেনে বিশ্ব।
সৌদি আরবের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। আরবি ভাষা সৌদি আরবের সরকারী ভাষা। সৌদি আরবে বর্তমানে ১৩ লাখ ভারতীয় শ্রমিক রয়েছে। এখানকার ৮০%-এরও বেশি লোক আরবি ভাষায় কথা বলে। সৌদি আরবের পতাকা কখনোই কোনো অবস্থাই অর্ধনমিত করা হয় না। কারন, এতে পবিত্র কালেমা রয়েছে। ১৯৩২ সালে আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর এর প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রহমান আল সউদ আরব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে হিফাযত এবং চিরস্থায়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেন। তাঁর নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টাকে তাঁর সন্তানগণ অব্যাহত রাখেন। কোনো সৌদি পুরুষ যদি ভিনদেশি কোনো নারীকে বিয়ে করতে চায় তাহলে তার বয়স হতে হবে অন্তত ৩০ বছর। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ - বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা। ১৩০০ বছর পর মধ্যপ্রাচ্য মুসলিম খিলাফতের হাতছাড়া হয়ে যায়।
আরবের সবার, নারী ও পুরুষ, তাদের আছে অদম্য যৌনক্ষুধা। এরা বোধ করি বিশ্বের সবচাইতে কামাতূর লোক। সৌদি আরবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন দেশ যেমন ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ও আফ্রিকার লোকজন লাইন দিয়ে আছে। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে ২০০০ ইং সালের জন্য যথার্থভাবেই সমগ্র আরব বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানীরূপে বাছাই করা হয়েছিল। তাপমাত্রা ১২ থেকে ৫১ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করে, বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্ত ও অনিয়মিত। দীর্ঘস্থায়ী উষ্ম ও শুস্ক গ্রীষ্মকাল। রাতে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। শীতকালে হালকা তুষারপাত হয়। আয়তনের তুলনায় মানুষ খুবই কম তাই তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ‘শ্রমিক’ আমদানী করে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশটি ছিল পাকিস্তানপন্থী। এমনকি পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পরও বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাকালীন সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকার করেনি।
প্রাচীনকালে আরবে মেয়েদের জীবিত কবর দেবার এক নিষ্ঠুর পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। সন্তান প্রসবকালেই মায়ের সামনেই একটি গর্ত খনন করে রাখা হতো। মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তখনই তাকে গর্তে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হতো ।সৌদী আরবে কর্মরত বাংলাদেশী, ইন্দোনেশীয় বা ফিলিপিনো নারীদের জন্য বৈষম্যের চেয়েও বড় সমস্যা যৌন নির্যাতন। সৌদী সমাজ ঘোরতরভাবে পুরুষতান্ত্রিক। তাদের পরিবারে এমনকি প্রতিদিন কি রান্না হবে সেই সিদ্ধান্তও দেয় পুরুষেরা। নারীদের জন্য চিন্তা করাই নিষিদ্ধ। আর গৃহকর্মী ধর্ষণ সৌদি সমাজে গ্রহনযোগ্য বিষয়। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বরের পর পর এদেশ থেকে বহু সংখ্যক স্বাধীনতা বিরোধী ‘রাজাকার-আলবদর’ পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব পলায়ন করে ও সৌদি সরকারের বিশেষ আনুকূল্যে সরকারী চাকুরী লাভ করে, যারা পরবর্তীতে ৭৬-এর পর থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশী পাসপোর্ট পায় এবং সৌদি ভূখন্ডে জামাতী রাজনীতির ভীত মজবুত করে।
ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাসগুলোর মধ্যে সৌদি আরব দূতাবাস অন্যতম। সৌদি আরবে ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য আল-মানার কনসালটেন্সি লিমিটেড এজেন্সীতে যেতে হয়। বেশিরভাগ সৌদি পুরুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নারীদের নিজস্ব কোন আশা, আকাঙ্খা, উচ্চাভিলাস থাকতে পারে না। তাই বিবাহের ব্যাপারে সৌদি মেয়েদের অভিমত সম্পূর্ণ অবান্তর। একটি সৌদি মেয়ে সম্পূর্ণভাবে তার মালিকের সম্পদ। মেয়েটির মালিক তার মেয়েটির ভাগ্য নির্ধারক। সৌদি পুরুষেরা মনে করে যে তাদের গোত্রের মেয়েরা অন্য অজানা গোত্রের ছেলের সাথে বিবাহ হওয়া খুবই লজ্জার ব্যাপার। সৌদি শেখদের বিলাসী ও ভোগবাদী জীবন এখন বিশ্বস্বীকৃত। একটি হোটেলে অনেক বেশী খাবারের অর্ডার দিয়ে সামান্য খেয়ে বাকি খাবার ফেলে দেয়া ওদের রীতি। সৌদিদের খাবার, গাড়ি, নারী ও বাড়ি ‘অপচয়’ দেখলে হয়তো অপচয়কারী ‘শয়তান’ও লজ্জা পাবে।
সৌদি সরকারের ক্ষমতার উৎস কোরআন ও রাসূলের হাদিস এবং দেশের সব বিধান ও আইন এর আলোকেই প্রণীত। বলা চলে আল্লাহর কিতাব কোরআন এবং মুহাম্মদ(সা.)-এর হাদিস এর সংবিধান অর্থ্যাৎ সকল আইন ও বিধির উৎস। সৌদি সরকারী নীতি হচ্ছে: ইসলাম ব্যতীত অন্য সব ধর্মই মিথ্যা; শুধুমাত্র ইসলামই সত্যিকার ধর্ম। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গোঁড়ামিপূর্ণ সৌদি সরকারের নীতি হচ্ছে যে কোন প্রকারেই হউক যতবেশি সম্ভব, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিধর্মীদ
সৌদি আরবের জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। আরবি ভাষা সৌদি আরবের সরকারী ভাষা। সৌদি আরবে বর্তমানে ১৩ লাখ ভারতীয় শ্রমিক রয়েছে। এখানকার ৮০%-এরও বেশি লোক আরবি ভাষায় কথা বলে। সৌদি আরবের পতাকা কখনোই কোনো অবস্থাই অর্ধনমিত করা হয় না। কারন, এতে পবিত্র কালেমা রয়েছে। ১৯৩২ সালে আধুনিক রাষ্ট্র হিসাবে সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পর এর প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আযীয বিন আব্দুর রহমান আল সউদ আরব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে হিফাযত এবং চিরস্থায়ী করার দিকে মনোনিবেশ করেন। তাঁর নিষ্ঠা ও প্রচেষ্টাকে তাঁর সন্তানগণ অব্যাহত রাখেন। কোনো সৌদি পুরুষ যদি ভিনদেশি কোনো নারীকে বিয়ে করতে চায় তাহলে তার বয়স হতে হবে অন্তত ৩০ বছর। আবদুল আজিজ ইবনে সৌদ - বর্তমান সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা। ১৩০০ বছর পর মধ্যপ্রাচ্য মুসলিম খিলাফতের হাতছাড়া হয়ে যায়।
আরবের সবার, নারী ও পুরুষ, তাদের আছে অদম্য যৌনক্ষুধা। এরা বোধ করি বিশ্বের সবচাইতে কামাতূর লোক। সৌদি আরবে কাজ করার জন্য বিভিন্ন দেশ যেমন ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, ও আফ্রিকার লোকজন লাইন দিয়ে আছে। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে ২০০০ ইং সালের জন্য যথার্থভাবেই সমগ্র আরব বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানীরূপে বাছাই করা হয়েছিল। তাপমাত্রা ১২ থেকে ৫১ ডিগ্রী সেলসিয়াস উঠানামা করে, বৃষ্টিপাত বিক্ষিপ্ত ও অনিয়মিত। দীর্ঘস্থায়ী উষ্ম ও শুস্ক গ্রীষ্মকাল। রাতে তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পায়। শীতকালে হালকা তুষারপাত হয়। আয়তনের তুলনায় মানুষ খুবই কম তাই তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ‘শ্রমিক’ আমদানী করে। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশটি ছিল পাকিস্তানপন্থী। এমনকি পাকিস্তান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার পরও বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকাকালীন সৌদি আরব বাংলাদেশকে স্বীকার করেনি।
প্রাচীনকালে আরবে মেয়েদের জীবিত কবর দেবার এক নিষ্ঠুর পদ্ধতি প্রচলিত ছিল। সন্তান প্রসবকালেই মায়ের সামনেই একটি গর্ত খনন করে রাখা হতো। মেয়ে সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে তখনই তাকে গর্তে ফেলে দিয়ে মাটি চাপা দেয়া হতো ।সৌদী আরবে কর্মরত বাংলাদেশী, ইন্দোনেশীয় বা ফিলিপিনো নারীদের জন্য বৈষম্যের চেয়েও বড় সমস্যা যৌন নির্যাতন। সৌদী সমাজ ঘোরতরভাবে পুরুষতান্ত্রিক। তাদের পরিবারে এমনকি প্রতিদিন কি রান্না হবে সেই সিদ্ধান্তও দেয় পুরুষেরা। নারীদের জন্য চিন্তা করাই নিষিদ্ধ। আর গৃহকর্মী ধর্ষণ সৌদি সমাজে গ্রহনযোগ্য বিষয়। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বরের পর পর এদেশ থেকে বহু সংখ্যক স্বাধীনতা বিরোধী ‘রাজাকার-আলবদর’ পাকিস্তানী পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব পলায়ন করে ও সৌদি সরকারের বিশেষ আনুকূল্যে সরকারী চাকুরী লাভ করে, যারা পরবর্তীতে ৭৬-এর পর থেকে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশী পাসপোর্ট পায় এবং সৌদি ভূখন্ডে জামাতী রাজনীতির ভীত মজবুত করে।
ঢাকায় অবস্থিত দূতাবাসগুলোর মধ্যে সৌদি আরব দূতাবাস অন্যতম। সৌদি আরবে ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য আল-মানার কনসালটেন্সি লিমিটেড এজেন্সীতে যেতে হয়। বেশিরভাগ সৌদি পুরুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে নারীদের নিজস্ব কোন আশা, আকাঙ্খা, উচ্চাভিলাস থাকতে পারে না। তাই বিবাহের ব্যাপারে সৌদি মেয়েদের অভিমত সম্পূর্ণ অবান্তর। একটি সৌদি মেয়ে সম্পূর্ণভাবে তার মালিকের সম্পদ। মেয়েটির মালিক তার মেয়েটির ভাগ্য নির্ধারক। সৌদি পুরুষেরা মনে করে যে তাদের গোত্রের মেয়েরা অন্য অজানা গোত্রের ছেলের সাথে বিবাহ হওয়া খুবই লজ্জার ব্যাপার। সৌদি শেখদের বিলাসী ও ভোগবাদী জীবন এখন বিশ্বস্বীকৃত। একটি হোটেলে অনেক বেশী খাবারের অর্ডার দিয়ে সামান্য খেয়ে বাকি খাবার ফেলে দেয়া ওদের রীতি। সৌদিদের খাবার, গাড়ি, নারী ও বাড়ি ‘অপচয়’ দেখলে হয়তো অপচয়কারী ‘শয়তান’ও লজ্জা পাবে।
সৌদি সরকারের ক্ষমতার উৎস কোরআন ও রাসূলের হাদিস এবং দেশের সব বিধান ও আইন এর আলোকেই প্রণীত। বলা চলে আল্লাহর কিতাব কোরআন এবং মুহাম্মদ(সা.)-এর হাদিস এর সংবিধান অর্থ্যাৎ সকল আইন ও বিধির উৎস। সৌদি সরকারী নীতি হচ্ছে: ইসলাম ব্যতীত অন্য সব ধর্মই মিথ্যা; শুধুমাত্র ইসলামই সত্যিকার ধর্ম। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য গোঁড়ামিপূর্ণ সৌদি সরকারের নীতি হচ্ছে যে কোন প্রকারেই হউক যতবেশি সম্ভব, এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিধর্মীদ